একজন বিখ্যাত মনীষী বলেছিলেন, ‘জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে হলে, স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়।’ আর ঠিক এমনটাই বিশ্বাস করেন মোহাম্মদ লিটন হোসেন। আর তাই পেয়েছেন ও সাফল্য। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিষয়ের দ্বিতীয় ব্যাচে সর্বোচ্চ ফল অর্জন করে পূরণ করেছেন তার স্বপ্ন। তার এই স্বপ্ন পূরণের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময়ই চেষ্টা করি সব বাধা পেরিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে। কেননা আমি বিশ্বাস করি, দৃঢ় চেষ্টা ও ইচ্ছা থাকলে যে কোনো কঠিন কাজই জয় করা সম্ভব।’ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জনকারী লিটন পেয়েছেন ডিস্টিংশন।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কাজকেই ছোট করে দেখি না। কেননা এইচএসসি পাস করার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সুযোগ পাইনে বলে অপেক্ষা করি নি। তাই প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে তৈরি করার জন্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে ভর্তি হই। তবে স্বপ্ন ছিলো ভালো ফল অর্জন করা।’ তবে লিটনের শৈশবও কাটে ঢাকায়। ২০০৪ সালে এসএসসি ও ২০০৬ সালে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তি হন ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইএসটি)। দুই বোন আর বাবা-মাকে নিয়ে মোট পাঁচ সদস্যের ছোট পরিবারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। পড়াশোনার বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই আমার বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া ‘বিদেশী লেখকদের বই পড়তে পছন্দ করি’ বললেন লিটন। তিনি আরও বলেন, ‘ভালো ফলের জন্য সারাদিন শুধু পড়াশোনা করতে হয় না। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মনোযোগ। তাছাড়া ক্লাস ফাঁকি ও সময়মতো পড়া না তৈরি করাকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। এটা শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়। জীবনে চলার পথে যে কোনো কাজেই এই নীতি অনুসরণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।’ তবে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি জানান ভিন্ন কথা – ‘এই বিষয়ে আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই, কেননা প্রকৌশলী হিসেবে এই বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও এখন নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। কারণ নিজের ভেতরের চিন্তাগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই সবার মাঝে। আর এটা শুধু শিক্ষক হিসেবেই করা সহজ। আর তাই এই বিষয়ের উপর আরও বিস্তর গবেষণা করা উচিত বলে মনে করি। তাই দেশে অথবা প্রয়োজনে দেশের বাইরে গিয়ে হলেও উচ্চ শিক্ষায় নিজেকে গড়ে তুলতে চাই।’ বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমার দেশকে। তাই স্বপ্নও দেখি সুন্দর ও সম্ভাবনায় বাংলাদেশের, যেন আমাদের পরের প্রজন্মও নিজেদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে এ দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।